১৯১৫ সালে ঈশ্বরদীর পাকশীতে নির্মিত হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সেতু কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অবিভক্ত ভারত সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজ করতে এই ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। তাঁর নামেই ব্রিজটির নামকরণ করা হয় ‘হার্ডিঞ্জ ব্রিজ’। ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি)। ১৫টি স্প্যানের এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৯৪০ ফুট। ব্রিজ দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচলের জন্য পাশাপাশি দুটি ব্রডগেজ রেললাইন রয়েছে। পায়ে হাঁটার পথ ছিল একসময় ,এখন নিরাপত্তার কারনে হাটতে দেয়া হয় না।বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচে ও পদ্মার পাড়ে বিকেল বেলাটা সত্যিই মনোরম । অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের আশে পাশেঘুরতে। চাইলে নৌকা নিয়েও পদ্মায় ঘোরা সম্ভব।