রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শিয়ালদহ কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বারকানাথ এই অঞ্চলের জমিদারি পান ১৮০৭ সালে।পরবর্তীতে ১৮৮৯ সালে রবিন্দ্রনাথ এখানের জমিদার হয়ে আসেন।এই কুঠি বাড়ি তার অনেক বিখ্যাত রচনার উৎপত্তিস্থল, এখানে বসেই বিশ্বকবি রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, গীতাঞ্জলী কাব্যের অনুবাদও শুরু করেন এখান থেকেই।১৯৫৮ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঠাকুরের এই কুঠিবাড়িটি স্মৃতিরূপে সংরক্ষিত করে এবং পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবির বিভিন্ন শিল্পকর্ম সংগ্রহ করে একে একটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ।গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে, মাঝে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। কুঠিবাড়ির খুব কাছেই কাচারী বাড়ি অবস্থিত। এখানে বসেই রবীন্দ্রনাথ খাজনা আদায় করেছেন প্রায় ৩০বছর। দুঃখের সাথে বলতে হয় এতো কাছাকাছি দুটি স্থাপনা হওয়া সত্ত্বেও কাচারী বাড়ি সংরক্ষনের কোনউদ্যোগ নেয়া হয়নি।